করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে আছে সব। এর মধ্যেই গত বছরের মতোই এলো নিরানন্দের ঈদ। এবারো থাকবে না উৎসব পালনের তেমন আয়োজন। শিশুরাও বিমর্ষ এটা নিয়ে।
করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটাচ্ছে সেখানে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করাটাই এখন মুখ্য বিষয়৷ কিন্তু আমরা পারছি কোথায়? রাজধানী ঢাকা ছাড়ার হিরিক পড়েছে। কর্মস্থল ত্যাগ করে পরিবারের সাথে ঈদ করতে ছুটছে মানুষ। কেউ একটাবারও ভাবছে না, তার সঙ্গে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিও যে আসতে পারে। পরিবারে থাকা মা, বাবা, দাদা, দাদী বা বয়স্ক কাউকে আক্রান্ত করতে পারে। একটা ঈদ বিসর্জন দেয়ার মানসিকতা আমাদের নেই।
ঈদ পারস্পরিক সম্প্রীতির আহ্বান জানায়। কিন্তু সেটা যে এভাবে প্রকাশ করতে হবে তার কোনো মানে নেই। বেঁচে থাকলে ঈদ প্রতি বছর আসবে, মহামারি প্রতিবছর আসবে না নিশ্চয়ই। একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তো হবেই।
মহামারি অনেক মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেকে। ঢাকায় কাজ করা নিম্ন আয়ের মানুষদেরও অনেকের কাজ নেই। অনেক শিশু পায়নি নতুন জামা। তাদের একটু সাহায্য করে, তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েও তো আমরা উপভোগ করতে পারি ঈদের আনন্দ।
ঈদ উদযাপনে নিয়মনীতি বেঁধে দিয়েছে সরকার। যেগুলো আমাদের ভালোর জন্যই করা হয়েছে। সেগুলো মেনেও ঈদ উদযাপন করা যায় বলে আমি মনে করি৷ ঈদ জামায়াত আয়োজনের অনুমতি রয়েছে তবে সেটা খোলা মাঠে, কোলাকুলি করতে নিষেধ করা হয়েছে। মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা তো আছেই। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানলে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানব আর একটু সচেতন থাকব। এই ঈদে এটাই আমার প্রত্যাশা।